নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৭ : ৫৫

৪৪ বছর পরে কেবল তাঁর ছায়া শরীরে দেখবে বলে হলমুখী বাঙালি! মহানায়কের মায়া কোনও ভাবেই অগ্রাহ্য করতে পারছেন না আগের প্রজন্মের সঙ্গে এই প্রজন্মও। ফলাফল? ২২ মার্চ, শুক্রবার শুভমুক্তির পর ২৩ মার্চ, শনিবার ১০টিরও বেশি হাউজফুল হল পেল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অতি উত্তম’। উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়ই যে বাংলা বিনোদনের শেষ কথা— প্রমাণিত। ৪৪ বছর পরে তাই তাঁর প্রত্যাবর্তনে দর্শকের সঙ্গে সমান খুশি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সোনি, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব অধিকারী। মাহানায়ককে সামাজিক পাতায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়। লেখক যশ চক্রবর্তী সামাজিক পাতায় লিখেছেন, ‘আমরা শিকাগোতে ‘অতি উত্তম’ আনছি। বাঙালির নববর্ষে বাঙালির মহানায়ক। এর থেকে ভাল কি আর কিছু হতে পারে! অপেক্ষায় আছি।’ তাঁর এই বার্তায় নতুন করে বাঙালির ছাতি গর্বে ৫৬! স্বামী বিবেকানন্দের পরে আবারও এক বাঙালি বিশ্ব জয় করতে চলেছেন!

এটা অনুরাগীদের অভিব্যক্তি। চার তারকা কী লিখেছেন মহানায়কের উদ্দেশ্যে?

ছবিতে ‘বিশু’ (বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়)-এর ছেলে প্রসেনজিতের ছবির পোস্টার দেখে যারপরনাই খুশি উত্তমকুমার। ‘বুম্বাদা’কেও বুঝি সেই অনুভূতি ছুঁয়ে গিয়েছে! তিনি বার্তা দিয়েছেন, ‘আজ থেকে বড়পর্দায় আবার মহানায়ক_#অতিউত্তম-এর প্রত্যেককে জানাই অনেক শুভেচ্ছা।’ প্রযোজক মহেন্দ্র সোনির মতে, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা। এমন অভিনব ভাবনার জন্য পরিচালককে সাধুবাদ। এবার বাণিজ্যিক দিক থেকে সাফল্যের পালা। তার জন্যও আগাম শুভেচ্ছা।’ অভিনব ভাবনার জন্য সৃজিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরমব্রতও। ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ছবির তরুণ তুর্কিদের। শুভকামনার পাশাপাশি দর্শকদের ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন সাংসদ-প্রযোজক-অভিনেতা দেব।

ছবিমুক্তির আগে দর্শকদের হলমুখী করতে একের পর এক চমক উপহার দিয়েছেন পরিচালক। কখনও উত্তমকুমারের ঠোঁটে মঞ্চ-পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠ ব্যবহার করে। কখনও মহানায়কের নানা ছবির ক্লিপিংস দিয়ে প্রচার ঝলক বানিয়ে। এবং ছবিমুক্তির আগে উত্তমকুমারের আমলে যে ধরনের পোস্টার তৈরি হত ঠিক সেই আমেজ পোস্টারে এনে। কখনও তাতে মোটা হরফে লেখা, ‘গুরু আসছে...’! কখনও ছবির মধ্যমণি স্বয়ং উত্তমকুমার। তাঁর ভুবনমোহিনী হাসি হেসে মন ভোলাতে তৈরি। সঙ্গে গুরুর বচন, ‘‘আমি তো আছি। ইজন’ট দ্যাট এনাফ?’’ দর্শক তাঁর আত্মবিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে। এই প্রথম সব প্রজন্ম পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে টাইটেল কার্ডের শেষ পর্যন্ত হাঁ করে দেখেছেন! 

‘গুরু তুমি জিনিয়াস’...